শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৪

কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন ও মিলাদ মাহফিলের মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবস পালিত



কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবস-১৪ পালিত হয়েছে। ১৫ আগষ্ট শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের বিদেহী আতœার মাগফেরাত কামনায় পবিত্র কোরআন খতম ও মিলাদ মাহফিলের মধ্য দিয়ে শুরু হয় শোক দিবসের নির্ধারিত কর্মসূচী। পরে সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন শেষে শুরু হয় আলোচনা সভা।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআই.পি বলেন, যারা করেছে বঞ্চিত পিতা, তোমার মুখের হাসি, করিনি ক্ষমা, করবোও না-পড়িয়েছি তাদের ফাঁসি। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালি জাতির জনকের সোনার বাংলা গড়তে তরুণ প্রজন্মকেই সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে হবে। 
সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. মো. আবুল কাশেম বলেন, বঙ্গবন্ধুর বড় অপরাধ ছিল দেশ ও দেশের মানুষকে ভালবাসা। আর এই অপরাধের কারনেই দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র সাড়ে ৩ বছরের মাথায় স্ব-পরিবারে শাহাদত বরণ করতে হয় তাকে।  
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ও পরিচালক (অর্থ) মো. আব্দুস সবুর, ডিপুটি রেজিষ্টার জসীম উদ্দিন, বাণিজ্য অনুষদের শিক্ষক রাজিদুল হক সুমন, শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন আইন অনুষদের মইন উদ্দীন, বাণিজ্য অনুষদের মাহমুদ বিন আব্দুর রহমান, পারভেজ মিনার, উম্মে কুলসুম শম্পা, এমবিএ অনুষদের ফারুক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ও ফ্যাকাল্টি ইনচার্জ এস. এম সাইফুর রহমান,  বাণিজ্য অনুষদের শিক্ষক অশোক চক্রবর্তী, প্রসেনজিৎ শাহ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আইন অনুষদের কামাল হোসাইন হেলালী, কম্পিউটার সাইন্সের ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, জনসংযোগ কর্মকর্তা কুতুব উদ্দিন, এডমিশন অফিসার রুহি মেহনাজসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।  
একাউন্টস বিভাগের বদিউল আলমের কুরআন তেলোয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন এডমিশন অফিসার পারিয়েল সামিহা শারিকা।  কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা
কুতুব উদ্দিন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানা যায়।

বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০১৪

একজন রাজনৈতিক কর্মীর সুইসাইড নোট! অতঃপর মিডিয়ার খুরমা! কুম্বকর্ণ প্রশাসন!

নেতারা প্রস্তুত শোকসভার জন্য, তবে সহকর্মীরা কি মৃত্যুর প্রহর গুনছেন.....

গত ২৭ জুন হঠাৎ কবি মানিক বৈরাগী (মানিক ভাই) এর মেইল। সুইসাইড করবেন তিনি। কারও সাথে অভিমান কিংবা নিজের জীবনের প্রতি অস্বস্থিবোধ থেকে নয়। শরীর আর সই না, বিনা চিকিৎসায় আর কতদিন এই কষ্ট। তার উপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (মানিক ভাইয়ের আপা) প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন চিকিৎসা সহযোগীতা এবং কাজ করতে সক্ষম স্ত্রীকে চাকরী দিবেন। সেই প্রতিশ্রুতি ও আশ্বাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে এবং শারীরিক কষ্টের ইতি টানতে শেষ পর্যন্ত আত্নহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কক্সবাজারের দরিয়া নগরের কবি সাইফুদ্দিন আহমেদ মানিক প্রকাশ মানিক বৈরাগী । পরে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া আশ্বাস বাস্তবায়নে দেরী এবং মৃত্যুকে আলীঙ্গন করে স্ব-ইচ্ছায় আত্নহত্যার খবর মিডিয়ার জন্য খুরমায় পরিণত হয়।



অন্যদিকে মানিক বৈরাগী তার ঘোষণা অনুযায়ী ০৯ জুলাই (১০ রমজান) এর দিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উন্মুক্ত মঞ্চে আত্নহত্যার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। আর এরই মধ্যে ফেইসবুকে লিখে যাচ্ছেন, যারা আমার আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত কে ভিন্ন চোখে উপেক্ষা করছেন সেই সব আওয়া্মি সুবিধা বাদিদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি,,,,, এভাবে কি বেছে থাকা যায় অ অ অ,,,,,, ডাক দিয়েছে দয়াল আমারে রইব না আর বেশিদিন তোদের মাজারে-
আর বরাবরের মতই সহকর্মীরা তাকে আশ্বস্থ করছেন ’’কবিকে বাঁচাতে হবে, বেঁচে উঠবেন কবি’’ এই বলে।

প্রধানমন্ত্রীর সাথে কবির সাক্ষাতের দাবীতে অনশন ও সাক্ষাতের প্রতিশ্রুতির খবর.....
http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article748460.bdnews

প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত শেষে মানিক ভাইয়ের কাছ থেকে জানতে চেয়েছিলাম...আপনি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে কি চেয়েছেন...তিনি বলেন, আপা আমার চাওয়া কি জানতে চাইলে ? আমি বাচঁতে চাই, চিকিৎসা চাই ও কবিতা লিখতে চাই বলে জানিয়েছি।
এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাকে নিয়ে প্রকাশিত তথ্যসমূহ হুবহু দেয়া হলো ..........................................
মানসিক যন্ত্রণা সইতে না পেরে আত্নহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কক্সবাজারের দরিয়া নগরের কবি সাইফুদ্দিন আহমেদ মানিক প্রকাশ মানিক বৈরাগী। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে তিনি নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ‘বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সাবেক প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে আমার উপর নির্মম পুলিশী নির্যাতন, কারা নিক্ষেপ ও চকরিয়ার লক্ষ্যারচর জিয়া পরিষদের ক্যাডারেরা আমার পরিবারের উপর হামলা লুটপাট ও বসতবাড়ি ভাংচুরে করেছিল। এ বিষয়টি বিগত ২৫ মার্চ রাত ৮ টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাত পরবর্তী আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশে চিকিৎসার আশ্বাস নির্দেশ প্রদান সত্বেও আজও কোন কার্যকর পদক্ষেপ হয়নি।’
করি বৈরাগী আরো জানান, ‘আমার শারীরিক অবস্থার ক্রমাবনতীরজনিত মৃত্যু যন্ত্রণার সহন মাত্রা অতিক্রম করায় আগামী ১০ রমজানের মধ্যে কার্যকর করা না হলে পরবর্তী এক সপ্তাহের যেকোন মুহুর্তে পবিত্র রোজা মুখে রেখে শারীরিক মৃত্যু যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য স্বজ্ঞানে-স্বমস্তিস্ককে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিজেকে উৎসর্গ করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি ‘
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া আশ্বাস ৩ মাসে বাস্তবায়ন না হওয়ায় ও শারীরিক যন্ত্রনা থেকে রেহাই পেতে মৃত্যৃর কোন বিকল্প না থাকায় আত্নহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
‘আমি এও বলতে চাই, মুজিব আর্দশের নৈতিক সৈনিকরা আদর্শ বিকিয়ে না দিয়ে হাসতে হাসতে মৃত্যুকে বেছে নেয়। আত্নহত্যা করে এটিই আমি প্রমাণ করতে চাই। কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ ও কক্সবাজার থেকে আওয়ামীলীগের নির্বাচিত সংসদ সদস্যগনকে আমার এই মৃত্যু উৎসব উপভোগ করার জন্য সবিনয় অনুরোধ করছি।’
প্রসঙ্গত, কবি মানিক বৈরাগী বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চকরিয়া উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু স্টাডি সার্কেলের সম্বনয়ক।
---------------------
উন্মুক্ত মঞ্চে আত্মাহুতির হুমকি!

প্রধানমন্ত্রীর দেয়া আশ্বাস বাস্তবায়ন না হওয়ায় মানসিক যন্ত্রণা সইতে না পেরে আত্মাহুতির ঘোষণা দিলেন কবি মানিক বৈরাগী। এজন্য তিনি ১০ রমজান পর্যন্ত আলটিমেটামও দিয়েছেন। এরই মধ্যে তার চিকিৎসা না হলে শহীদ মিনারে উন্মুক্ত মঞ্চে আত্মহত্যা করেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাবেন বলে জানান কঙ্বাজারের দরিয়া নগরের এ কবি। কবি বৈরাগী জানান, 'বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সাবেক প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে আমার ওপর নির্মম পুলিশি নির্যাতন, কারাভোগ ও জিয়া পরিষদের ক্যাডারেরা আমার পরিবারের ওপর হামলা, লুটপাট ও বসতবাড়ি ভাংচুর করেছিল। বিষয়টি ২৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জানিয়েছিলাম।

           

উল্লেখ্য কবি মানিক বৈরাগী আত্নহত্যা করলে তার জানাযা নামাজ পড়বেন। শোকসভায় বড় বড় কথা বলবেন আর কাঙ্গালী ভোজের নামে চাঁদাবাজী করবেন এমন হীন মস্তিষ্কের রাজনৈতিক নেতাও আছে কক্সবাজারে। আর এরা অপেক্ষা করছেন মৃত্যুর জন্য..... তবে সহকর্মীরা বসে নেই, অপেক্ষার প্রহরও গুনছেন না জেগে আছে তারা----------



সহকর্মীরা বিভিন্ন মাধ্যমে লিখেছেন.............
মুহাম্মদ সাইফ উদ্দীন আহমেদ মানিক নামের ছেলেটা আমার খুবই পছন্দের ছিল এবং আছে। যে কোন কারণে তার সাথে আমার একটা আত্মীক সম্পর্ক হয়েছিলো যা এখনো অটল। তার স্বাধিনচেতা লিখা দেখে সেই ১৯৮৫ সালের বৈরাগী বলে সম্বোধন করি। মধ্যে অনেক সময় তার সাথে দেখা ছিলো না।
১৯৯৩ সালের দিকে কোন এক মেজবানে তাকে দেখি। তাপর থেকে নিয়মিত অনিয়মিত যোগাাযোগ হয়।
আমি দেখা হলেই বৈরাগী বলে ডাকতাম। এবং কবিতা আবৃতি শুনাতে বলতাম তখন সে দরাজ কন্ঠে আবৃতি করতো "তিন ভাগ গ্রাসী আছো এক ভাগ বাকী, সুরা নাই পাত্র হাতে কাপিতেছে সাখি "
তার অনেক বদগুন ছিল সে মুজিব কে ভালবাসত, ছাত্র রাজনীতি করতো দেশের জন্যে ভাবতো।
সে আজ আত্মহুতি দেবে এটা কোন ব্যাপার না। কারণ সে রাজনীতি করতো আদর্শের।

।। এখনকার রাজনীতি বিদরা দু' মুখি শাপ মোনাফেক।। "
মানুষ মানুষের জন্য, সে কথা কি ভুলে গেছে কক্সবাজার জেলার অা.লীগের বিশাল বিশাল নেতারা? নাকি কথাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা? সাবেক ছাত্রলীগের নেতা, কবি মানিক বৈরাগী অাজ অসুস্থ হয়ে ধুকে ধুকে মরতে বসেছে। কিন্তু অাপনারা প্রতিদিনের ন্যায় ভাল ব্রান্ডের পারফিউম মেখে ফাইভ স্টার হোটেলে বা এসি নিয়ন্ত্রিত রেস্টুরেন্টে চা বা কফিতে চুমুক দিচ্ছেন !! সাহায্যের হাত যদি বাড়িয়ে দিতে না পারেন তাহলে মানিক ভাইয়ের সোনালী অতীত জীবন ফিরিয়ে দিন। বিএনপির অামলে তাঁদের নির্যাতন থেকে বাঁচতে ওনি মাথা ন্যাড়া করে হিন্দু ভাইদের বাড়িতে লুকিয়ে লুকিয়ে দিনাতিপাত করেছিল সে দিনগুলো ফিরিয়ে দিন। ধিক্কার অাপনাদের মানবতাকে !!!!

আলোচিত মন্তব্যগুলো.............
মানিকের জন্য কিছু করুন। অসাধারণ ভালো মানুষ তিনি। বছর তিনেক আগে কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়ে তার সঙ্গে চমৎকার কিছু সময় কাটিয়েছিলাম, খবরটা পড়ার পর থেকে চরম অস্বস্তিবোধ করছি, বারবার কানে বাজছে তার প্রাণখোলা হাসি।,,,,,,,,,,,,, জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় থেকে কিছু সময় এ নিউজটি পড়তে সময় দিবেন কি হে মুজিব সেনারা? শেয়ার করে নেত্রী বরাবর পৌছে দিবেন কি?,,,,,,,,,,,,‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া আশ্বাস ৩ মাসে বাস্তবায়ন না হওয়ায় ও শারীরিক যন্ত্রনা থেকে রেহাই পেতে মৃত্যৃর কোন বিকল্প না থাকায় আত্নহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তিনি।,,,,,,,,,,,,,ওনি মরে গেলে অনেকের সুবিধা হবে। কারণ রাজনীতি এখন নষ্টদের দখলে। ওনি মরলে একটি নক্ষত্রের ইতি ঘটবে ! তারা মানে সুবিধাবাদীরা সুযোগ লুপে নিতে পারবে।
--------------------------------------
মানসিক অনেক অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করেছে, গত বি এন পি/জামাত সরকারের সময় দীর্ঘ দিন সে আমাদের গ্রামের বাড়িতে ফেরারি হয়ে দিন কাটিয়ে ছিল। তখন তার সাথে যে সময় গুলো কাটিয়েছিলাম, তাতে আমার ফিলিংস হয়েছিল সে একজন সত্যিকারের বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধা পরিবারের যোগ্য প্রতিনিধি। কিন্তু বর্তমান রাজনীতিতে তো পা চাটা কুকুরদের জয়জয়কার। তাই আমাদের ভাই, আমাদের মানিক, তার আত্মত্যাগের সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাই। আমরা চাই সকল সাচ্চা দেশপ্রেমীর প্রতিভূ হয়ে উঠুক আমাদের মানিক, আমাদের মানিক বৈরাগী। --- শাহেদ সেলিম

একটি আদর্শের ধারক-বাহকের পরিকল্পিত অপমৃত্যু ঠেকানোর দায়িত্ব কার? চেতনার চেতনের অপেক্ষায় ...
----------------------------
মানিকের আত্মাহুতির খবর এমন বড় কিছুই নয়।
তাকে দেখেছি খুব বেশী কাছ হতে। সে কখনও রাজনীতিবিদ ছিল না। সে ছিলো আদর্শ বাদী এক সৈনিক বা লাঠিয়াল। এখন সেই সৈনিক মরবে কি বাচঁবে তা নিয়ে চিন্তা করার সময় কি মহাজনদের(রাজনীতিবিদ) আছে?? অনেক মহাজন (রাজনীতিবিদ) তার কাছে আসতো। আমি অনেককে জানি বর্তমানে তারা রাজ পথ কাপাঁনো নেতা তারা তার শিষ্য ছিল।
তাকে ব্যাক্তিগত ভাবে অনেক বার বলেছি মহাজন বা রাজনীতিবিদ হতে সে আমাকে বলতো ভাই চিন্তা কইরেন না। এরা আমার কথাই চলবে সব সময় আমার কাছে আসবে।
কিন্ত আমি কি দেখলাম সে ২০০১ সালে আমাদের গ্রামের বাড়ীতে। আমার খুব খারাপ লাগতো তার চলাফেরা দেখে
তবে কিছুই বলতাম না। কারণ সে একদাপ বেশী বুঝে।
সব সময়ই ঐ মহাজনদের (রাজনীতিবিদ) উপর আস্হা রাখতো। এবং স্বপ্নে বসবাস করতো।
এ বছরের শুরু তে দেশে তার সাথে আবার দেখা হয় তখনো বলি বাস্তবে ফিরে আসতে। না সে মানলো না এখন বুঝুক দেহ যন্ত্রনা কাকে বলে।
আমি ধিক্কার জানাই তার শিষ্যদের যাদেকে সে রাজনীতি শিখিয়েছে নেতা বানিয়েছে। সাথে সাথে তাকেও ধিক্কার কেন সে নিজের শরীর কে ঠিক রাখে নাই তাই। ফেসবুকে অনেকে তাকে বাহবা দিচ্ছে।কাজটা ঠিক হচ্ছে না।



বিদেশ থেকে এক সহকর্মী লিখেছেন..............
আমি দেশে থাকলে তাকে লাঠি পেটা করতাম।মর মর মর তাড়াতাড়ী মর মর মর।

পবিত্র মক্কা শরীফ
সৌদি আরব।
মানিক বৈরাগীর
প্রতি খোলা চিঠি
প্রিয় মানিক,
জানি তোমার আর
কোন উপায় ছিলনা বলে
মৃত্যুকে বেছে নিতে চাও
নিবিড় আলিঙ্গনে ।
আজ
তোমার আকাশ
জুড়ে সর্বনাশা আষাঢ়ের
ঘন কালোমেঘ,
তুমোল
আগ্রাসনে নেমে এলে তোমারই
আঙিনাতে
তখন তোমাকে মনে হয়
তুখোড় অবজ্ঞার
স্রোতে বেহুলার
ভেলাতে ভাসমান
যেন সারাজীবনের এক
লক্ষ্মীন্দর ।
পৃথিবী নামক বিষের
বাসরে যন্ত্রণার
দহনে দহনে
কতটা সাহসের
বৈতরণী পার হয়ে এলে
নির্ভীক
মৃত্যুকে ডাকা যায়
আমি জানিনা ।
তবুও বলতে চাই
ফিরে এসো মানিক !
এই দরিয়া নগরের নীল
তীরে স্বেত প্রবালের
ঘরে
শামুক, ঝিনুক, বর্ণীল
নুড়ি মাখা নোনা বালির
চরে ।
তোমার জীবনের
নির্মম
গতিপথে আমি মানি না
আরও কোন ফারাক্কা,
তিস্তা কিংবা টিপাই
বাঁধ ।

সবশেষে কবি মানিক বৈরাগীর হৃদয়বিদারক ফেইসবুক স্ট্যাটাস...................বাঁচার জন্য অনশন করেছিলাম, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার আপা বাংলার হৃদইয়ের সাক্ষাতের সুযোগ পেলাম, আপা ব্যবস্থা করার জন্য ধিনস্থদের নির্দেশ দিলেন, সময় গড়িয়েযায়, অধিনস্থদের নির্দেশ কার্যকর পদক্ষেপ এতোধির গতিতে আমার দেহযন্ত্রনা এমোন চরম অবস্থা লিখে বুঝানু যাবেনা, তাই বাঁচার জন্য মৃত্যুর সিদ্দান্ত নিলাম, আপনার যারা আমার এই সিদ্দান্তকে রাজনৈতিক ভাবে শ্যেনদৃষ্টিতে দেখছেন আপনারা দয়া করে আমার একরাতের ব্যথার যন্ত্রনা অন্তত আধাঘন্টার জন্য হলেও দেখে যান। আপনাদের চা’র আমন্ত্রন যানাচ্ছি, লালচা, লেবু চা, আদা চা র দাওয়াত। নেতা ওবাইদুল কাদেরের ভাষায় বলতে চাই, আমার চাইতে বেশি আওয়ামিলীগ হয়ইয়েন না, সবার আর এস, বিএস যানা আছে।
(সংকলিত)

লেখক ... কবি মানিক বৈরাগীর অনন্য সুহৃদ
মইন উদ্দীন- সংবাদকর্মী ও শিক্ষার্থী- আইন বিভাগ।


কবি মানিক বৈরাগী সম্পাদিত সাহিত্য পত্রিকাকবি মানিক বৈরাগী সম্পাদিত সাহিত্য পত্রিকা

বাংলাদেশী কবিদের কবিতা নিয়ে ইংরেজীতে প্রকাশিত বইয়ে কবি মানিক বৈরাগীর দুইটি কবিতা.....বাংলাদেশী কবিদের কবিতা নিয়ে ইংরেজীতে প্রকাশিত বইয়ে কবি মানিক বৈরাগীর দুইটি কবিতা.....